শুরুর আগে

শুরু করার আগে আমাদের প্রথমেই গো সেটাপ করে নেওয়া এবং এর বিল্টইন টুল গুলো সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তার আগে গো সম্পর্কে কিছু বলে রাখা দরকার।

গো স্ট্যাটিকালি স্ট্রংলি টাইপ ল্যাঙ্গুয়েজ, পাইথনের মত গোতে যেকোনো ভ্যারিয়েবলে যেকোনো কিছু রাখা যায় না। গো কম্পাইলড প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ, অর্থাৎ এতে লিখা প্রোগ্রাম বাইনারিতে কনভার্ট হয় এবং সেই বাইনারি ফাইল চালাতে হয়। সে জন্য গো বেশ দ্রুত কাজ করে। এমনিতেই কম্পাইলার ভিত্তিক ল্যাঙ্গুয়েজ সবসময়ই ইন্টারপ্রেটার ভিত্তিক ল্যাঙ্গুয়েজ এর চেয়ে ফাস্ট হয়। তবে গো, সি বা সি++ বাদে প্রায় সব ল্যাঙ্গুয়েজের চেয়েই ফাস্ট। গো সিনট্যাক্সের দিক দিয়ে সি এর মতই। কিন্তু গো আরও কিছু সুবিধা দেয়, যেমন মেমোরি সেফটি, গারবেজ কালেকশন, কনকারেন্সি। গো তৈরি করার সময় ডেভেলপররা অন্য ল্যাঙ্গুয়েজের ভালো বৈশিষ্ট্যগুলো সমন্বয়ের বিষয়টি মাথায় রেখেছিলেন, তাই গো দেয় সি এর মত স্ট্যাটিক টাইপিং এবং দ্রুততার সুবিধা, পাইথন বা জাভাস্ক্রিপ্টের মত সহজবোধ্যতা আর দেয় নেটওয়ার্কিং ও মাল্টিপ্রোসেসিং এর সুবিধা।

“Go is like a better C, from the guys that didn’t bring you C++” — Ikai Lan

ইনস্টলেশন

যারা ম্যাক ওসএক্স ব্যবহার করেন, তাদের জন্য হোমব্রু ব্যবহার করে ইনস্টল করা খুবই সহজ:

brew install go

যারা উবুন্টু ব্যবহার করেন, তারা apt ব্যবহার করে go ইনস্টল করতে পারেন:

sudo apt install golang

এছাড়া সব প্লাটফর্মের জন্য গো ডাউনলোড করা যাবে এখান থেকে

গো প্রোগ্রাম রান করা

গো প্রোগ্রাম রান করা খুবই সহজ, আমাদের মূল গো ফাইলের নাম যদি হয় main.go তাহলে টার্মিনালে এই কমান্ডটি ব্যবহার করে আমরা প্রোগ্রামটি রান করাতে পারবো:

go run main.go

সবকিছু ঠিক থাকলে এখন আমরা গো তে আমাদের প্রথম প্রোগ্রামটি লিখার জন্য প্রস্তুত!

Last updated